Category Archives: সন্ত্রাসী !

৯/১১ এর ইতিহাস

আসছে সেপ্টেম্বর ১১ তারিখ,২০০১ সালের এই দিনে আমেরিকার টুইন টাওয়ার এবং আমেরিকার সামরিক ও প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে হামলা হয়।যদিও মুসলিম বিশ্বের কেউ এই হামলার সাথে জড়িত ছিল না তবুও হামলার পরপরিই আল-কায়েদা তথা সারা মুসলিম বিশ্বকে এর জন্য দায়ী করা হয়।মূলত এই হামলার পেছনে ছিল স্বয়ং আমেরিকার বুশ প্রশাসন,সিক্রেট সোসাইটি আর জায়নিস্ট ইহুদিরা।এই হামলা একটি অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র।নিম্মে প্রমাণ উপস্থাপন করা হল-

১.ঘটনার পর টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তুপে গ্রায়ন্ড জিরোতে ন্যানো থারমাইটের (Nano Thermite) অস্তিত্ব পাওয়া যায় যা এমন রাসায়ণিক পদার্থ যা লোহা গলানোতে ব্যবহার করা হয়।টুইন টাওয়ারের মত সুউচ্চ বিল্ডিং তৈরিতে লোহা বা স্টিলের ফ্রেম ব্যবহৃত হয়।ষড়যন্ত্রকারীরা এটা গলাতে রাসায়নিক পদার্থ ন্যানো থারমাইট ব্যবহার করে।

(ছবি-১)

২.টুইন টাওয়ার ছাড়াও তৃতীয় পাশের অন্য একটা বিল্ডিং সেদিন ধ্বংস হয় যা বিল্ডিং ৭ বা wtc7 নামে পরিচিত।বলা হয় টুইন টাওয়ারের বিস্ফোরণের প্রভাবে বিল্ডিংটি ধ্বংস হয়ে যায়।পুরো বিল্ডিংটি মাত্র ৬.৫ সেকেন্ডে পুরোপুরি মাটির সাথে মিশে যায় যা বিশেষজ্ঞদের মতে অভ্যন্তরীণ বিস্ফোরণ ছাড়া অসম্ভব।BBC এর সাংবাদিক জেন স্টেনডলি (JANE STANDLEY) ঘটনার দিন বিল্ডিং ৭ এর ধ্বংসের বর্ণনা দেন।তবে মজার ব্যাপার হল রিপোর্টটি প্রদর্শনের সময় টেলিভিশ্নের ভিডিও স্ক্রীনে তখনও বিল্ডিং ৭ অক্ষত ছিল।পরবর্তীতে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন মূলত মূল ঘটনা ঘটার ২০ মিনিট আগেই বি বি সি ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং ভুলবশত তা প্রদর্শন করে।(ছবি-২)

৩.টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ফলে কোন মালিক পক্ষের কোন রূপ ক্ষতি হয় নি।টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ৬ মাস আগে লেরি সিলভারস্টেইন (LARRY SILVERSTEIN) ৩.২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইন টাওয়ার লীজ নেয়।বিমান হামলার পর নতুন সন্ত্রাস বীমা আইন যা দুই মাস আগে আইন হিসেবে প্রণোয়িত হয়, সে অনুযায়ী বীমা কোম্পানীকে মোট ৭.১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয় কেননা সিলভারস্টেইনের দাবী অনু্যায়ী হামলা দুবার হয়েছিল তাই দ্বীগুন ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।আইনের শরণাপণ্ণ হয়েও বীমা কোম্পানীর কোন লাভ হয় নি।

(ছবি-৩)

৪.বিমান ছিনতাইকারীদের দোষী সাবাস্ত্য করার জন্য প্রমাণ হিসেবে ধ্বংস স্তুপে মুহাম্মদ আতা ও সাটাম আল-সুগামীর পাসপোর্ট পাওয়ার কথা বলা হয়,ধ্বংস্তুপে সব-কিছু জ্বলে পুরে ছাই হয়ে গেলেও পাসপোর্ট দুটির সম্পূর্ণ অক্ষত থাকা অস্বাভাবিক।ফ্রান্সে প্যারিস হামলার দিনও এইভাবে পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল।

৫.পেন্টাগন হামলার বিবরণেও অনেক অসংগতি চোখে পড়বে।পেন্টাগণের মত সুরক্ষিত এলাকায় যার চারপাশে অসংখ্য সি সি ক্যামেরা মোতায়েন থাকে সেখানে হামলার কোন রূপ ভিডিও ফুটেজ দেখা যায় নি।পেন্টাগনে হামলায় জেট বিমানের কথা বলা হলেও পাওয়া যায় নি ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানের সামান্যতম অংশ পাও্য়া যায় নি।পেণ্টাগনের দেয়ালে ১৬/২০ ফুট গর্ত ছিল অথচ ১২৫ ফুট লম্বা বিমান বিস্তৃত ডানা সহ ঐ গর্ত দিয়ে কিভাবে প্রবেশ করল তা বোধগম্য নয়।(ছবি-৪)

৬.কয়েকজন নৃত্যরত ইহুদীকে গ্রেফতার করা হয় টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সময়ে।তারা টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সময় উচ্ছাস প্রকাশ করছিল।(ছবি-৫)

৭.সাংবাদিক এরোন রুশো(Aaron Russo) এক টিভি ইন্টারভিউতে বলেন যে তিনি কো্ন কাজে কোন এক রকফেলার (ইহুদি পরিবার)পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করেন।আলাপের এক পর্যায়ে রকফেলার সদস্য তাকে বলে তারা এমন এক ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছে যাতে আফগানস্থান দখল করা যাবে এবং এই দেশের ভিতর দিয়ে তেলের লাইন নেয়া যাবে।তিনি আরও বলেন এই ঘটনার পর ইরাক আর এর তেলক্ষেত্র দখল করা হবে।এরোন রুশোর সাথে এই আলোচনা হয় টুইন টাওয়ার ধ্বংসের প্রায় ১১ মাস আগে।এরোণ রুশো টিভিতে এই ইন্টারভিউ দেওয়ার কিছু দিন পর গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়।ধারণা করা হয় CIA এই দুর্ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।(ছবি-৬)

৮.১০০ এর বেশী অগ্নীনির্বাপন কর্মী আর প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য অনু্যায়ী ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানে গলিত লোহা দেখা যায় যা ন্যনো থারমাইটের অস্তিত্ব দেখিয়ে দেয় তাছাড়া অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক পাওয়া যায় যাতে কিছু অগ্নীনির্বাপক কর্মী আহতও হয়।

৯.টুইন টাওয়ার আর পেন্টাগন হামলার ৯/১১ এর ঘটনা মূলত দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা,অনেকেই ব্যাপারটা জানত কিন্তু ভয়ে প্রকাশ করতে পারত না,সরাসরি প্রকাশ করতে না পারলেও তারা নাটক সিনেমা তা সে সব আলামত প্রকাশ করে,

ছবি-৭

এ কিছু হলিউড নির্মিত কার্টুনে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ছবি দেখা যাচ্ছে।

ছবি-৮

এ সম্ভবত ১৯৯৩ সালের একটি ম্যাগাজীনে টুইন টাওয়ারের চারপাশে দুজন মুসলিমকে বোমা হাতে প্লেন নিয়ে চক্কর দিতে দেখা যাচ্ছে।হলিউডের অনেক সিনেমাতেই টুইন টাওয়ারের কথা উল্লেখ করা হয়।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য “THE LONG GOODNIGHT KISS” এই সিনেমাতে ভিলেন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কথা বলে আর মুসলিমদের ফাসানোর কথা বলে।

১০.টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর এর খালি জায়গায় সিক্রেট সোসায়টিরা শয়তানি অনুষ্ঠান সম্পাদন করে যা গোপনে ভিডিও করা হয়।(ছবি-৯)

১১.প্রেসিডেন্ট বুশ ঘটনার সময় একটি বাচ্চাদের স্কুলে পরিদর্শনে ছিল কিন্তু তাকে সেদিন ঘটনার কথা জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে যে সে তখন টিভি স্ক্রীণে বিমান হামলার সরাসরি ভিডিও দেখছিল কিন্তু ঘটনার দিন কোন টেলিভিশন প্রচার কেন্দ্র টুইন টাওয়ারের কোন ভিডিও প্রচার করেনি বরং তা প্রচার করেছিল পরের দিন।এথেকে প্রমাণ হয় বুশ আগে থেকেই হামলার কথা জানত।

নওমুসলিমদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে আবারও ব্যর্থ রাষ্ট্র।

নওমুসলিমদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে আবারও ব্যর্থ রাষ্ট্র।

নওমুসলিম নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম তোলপাড় ঘটে ১৯৮৯ সালে। ঐ সময় কিশোরগঞ্জ জেলায় এক পীর সাহেব ছিলো। নাম তার মেজর(অবঃ) মতিউর রহমান, ডাক নাম হামিদ। মতিউর রহমান ১৯৭১ সালে ১১ নম্বর সেক্টর থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেন। তার দলের নাম ছিলো হামিদ কোম্পানি। হামিদ কোম্পানি ১৯৭১ সালের ১৬-১৭ই ডিসেম্বর নেত্রোকোণা ও কিশোরগঞ্জে প্রবেশ করে এবং তারপর জেলাগুলোর বিজয় ঘোষিত হয়।
৭৫ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ক্যু-পাল্টা ক্যু হয় এবং অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার নিহত ও চাকুরীচ্যূত হন। চাকুরীচ্যুতদের মধ্যে মেজর (অব) মতিউর রহমানও ছিলেন। সেনাবাহিনী থেকে বের হওয়ার পর তিনি ধর্মচর্চা শুরু করেন এবং শিমুলিয়ার পীর নামে পরিচিত লাভ করেন। ঐ সময় বৃহত্তর কিশোরগঞ্জ ছাড়াও বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় তার অনুসারীর সংখ্যা বেশ লক্ষণীয় ছিলো।
যাই হোক, মূল ঘটনায় আসি। ঐ সময় এক হিন্দু ছেলে মুসলিম হওয়াকে কেন্দ্র করে তার সাথে স্বৈরাচার এরশাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। নওমুসলিম ছেলেটিকে তার পরিবার ফেরত চায়, কিন্তু ছেলেটি মুসলমানদের কাছে আশ্রয় চায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপও তৈরী হয়, যার দরুণ তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদ নওমুসলিম ছেলেটিকে আবার হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে হস্তগত করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় পীর মতিউর রহমান ফতওয়া দেয়, সমস্ত মুসলমানের দায়িত্ব এ নওমুসলিম ছেলেটিকে নিরাপত্তা দেয়া। যেহেতু স্বৈরশাসক এরশাদ জোর করছে, তাই তার সাথেও পাল্টা জোর করতে হবে বা জিহাদ করতে হবে। এই শুরু হয়ে যায় দ্বন্দ্ব। ঐ সময় এরশাদ ৫০০ পুলিশ পাঠায় মেজর মহিউর রহমানকে দমন করার জন্য, মেজর মতিউর রহমান তার সঙ্গী-সাথীদের লাঠি-সোটা-বল্লম নিয়ে প্রস্তুত রাখে। ১৯৮৯ সালের ১১ডিসেম্বর শুরু হয় যুদ্ধ। পুলিশের গুলিতে ঐ সময় শিমুলিয়ার পীরের ছেলেসহ ২২ জন নিহত হয়, আহত হয় শতাধিক। আহত অবস্থায় গ্রেফতার হয় মতিউর রহমান। ঘটনাটি শিমুলিয়া গণহত্যা নামে সু-পরিচিত।
(https://pakundiapratidin.com/%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A3/)

মতিউর রহমানকে পরবর্তীতে কালে মিডিয়ায় জঙ্গী বাহিনী নামে প্রচার করা হলেও ‘নওমুসলিম’ ইস্যুটি চেপে যায় মিডিয়া। কারণ একজন নওমুসলিমকে নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সংবিধানের ৪১ (১) ক – অংশে মৌলিক অধিকার হিসেবেই একজন নওমুসলিম রাষ্ট্র থেকে সর্ব প্রকার নিরাপত্তা লাভ করতে পারে। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় বর্তমান কালে রাষ্ট্র নওমুসলিমের অধিকার দেয়া তো দূরের কথা, উল্টো অপরাধীদের পক্ষ হয়ে নওমুসলিমের অধিকার হরণ করে। আজ থেকে ৩২ বছর আগে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার যেমন একজন নওমুসলিমের অধিকার হরণ করেছিলো, আজকেও একই ঘটনা দেখা গেলো কক্সবাজারের ধর্মান্তরিত চাকমা নারী হালিমাতুল সাদিয়ার ক্ষেত্রে। তার ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়ার পরও শুধু মাত্র ১৮ বছর হয়নি, এমন অজুহাতে তার লাশ তুলে দেয়া হলো তার বৌদ্ধ বাবা-মার হাতে। তারাই বৌদ্ধ নিয়মে হালিমাতুল সাদিয়ার লাশ সৎকার করলো। অথচ সে ধর্মান্তরিত হয়েছে তা স্পষ্ট প্রমাণিত। (https://www.bbc.com/bengali/news-55528265)
বলাবাহুল্য একজন মানুষ জীবত থাকতে যেমন রাষ্ট্রের কাছে তার ধর্মীয় অধিকার পাওয়ার দাবী রাখে, ঠিক তেমনি মৃত্যুর পরও তার অধিকার কোন অংশে কম হয় না। নিজ ধর্মীয় রীতিতে সৎকার হওয়ার তার মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেই অধিকার কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্র বিরুপ আচরণ করেছে, সাম্প্রদায়িক বৌদ্ধ উগ্রবাদীদের পক্ষপাতিত্ব করেছে, সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে এক মৃত নারীর, যা প্রকৃতপক্ষে নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।

[ উল্লেখ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত সহকারী বর্তমানে ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার মত উগ্র সাম্প্রদায়িক এক বৌদ্ধ। সে পদ পাওয়ার পর থেকেই সাম্প্রদায়িক উগ্র বৌদ্ধগোষ্ঠী বেশ প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে।]

নওমুসলিমদের অধিকার দিতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার আরো কিছু উদাহরণ-

১) ২০১০ সাল: ঝিনাইদহ জেলায় আবদুল্লাহ (২৮) নামের এক নওমুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা। (https://bit.ly/3lvsOj5)
২) ২০১৩ সাল: খুলনায় নওমুসলিম সাইফুল হত্যায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
(http://www.old.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=5&textid=41003)
৩) ২০১৫ সাল: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নওমুসলিম খাদিজাতুল কোবরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন, তার মৃত্যুর সাথে ডাক্তার পবিত্র কুণ্ডু ও নার্স কাকতী রানী বলের যোগসূত্র আছে। (https://bit.ly/2YBV0qk, https://bit.ly/2G3qKyo)
৪) ২০১৭ সাল : সীতাকুণ্ডে নওমুসলিম সেলুনকর্মী খুন
(https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2017/12/04/581893)
৫) ২০১৭ সাল: নওগার নিয়ামতপুরে ফাতেমা খাতুন নামক নওমুসলিম নারীকে হত্যা করে হিন্দুরা।
(https://bit.ly/32ob7ZG, https://bit.ly/32xImK6)
৭) ২০১৮ সাল: সিলেটের বিশ্বনাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় আব্দুল্লাহ মাসউদ নামক এক নওমুসলিম যুবককে হত্যার হুমকি দেয় তার পরিবারের লোকজনই। (https://bit.ly/31vlxYu)
৮) ২০১৮ সাল: ইশরাত জাহান নামক এক নওমুসলিম মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়। (https://bit.ly/31vlQT8)
৯) ২০১৯ সাল: মিডিয়ায় খবর আসে, কুমিল্লার লাকসামে জান্নাতুল ফেরদাউস নামক এক নওমুসলিম নারীর স্বামীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারই পরিবারের হিন্দু সদস্যরা। (https://bit.ly/3jmpViG)
১০) ২০২০ সাল: ঠাকুরগাওয়ে মুসফিকা বেগম নামক এক নওমুসলিম নারীকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন।
(https://bit.ly/2D79Bmm)
১১) ২০২০ সাল: চট্টগ্রাম আদালত চত্বর থেকে এক সুমিষ্টা রায় ওরফে ফাহিমা জান্নাত নামক এক নওমুসলিম নারীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য- বাংলাদেশে হিন্দু নেতারা কোন নওমুসলিম নারীকে বিয়ে করলে প্রকাশ্যে মুসলিম যুবকের গলা কাটার নির্দেশ দেয় এবং হিন্দু মেয়ে অপহরণে এলাকা ভিত্তিক উগ্রহিন্দুত্ববাদী টিম তৈরী করতে বলে।। (https://www.facebook.com/watch/?v=308072220473015)

আরো উল্লেখ্য বর্তমানে পার্শ্ববর্তী ভারতে নওমুসলিম বিরোধী আইন তৈরী হয়েছে। এ আইনে কোন ধর্মান্তরিত নারীকে বিয়ে করলে মুসলিম যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড হয়। এমনকি কোন নওমুসলিম নারী মুসলিম যুবকের সন্তান গর্ভে ধারণ করলে পুলিশ তার গর্ভপাত করিয়ে দেয়।
(https://southasianmonitor.net/public/bn/latest-news/indias-first-young-woman-arrested-under-the-profit-jihad-act?fbclid=IwAR05pFTk4LkzCTKA8OOJa11fODS_uJOiyOt_DV7nByDEMKsVlJHSuCohv7k)

আমরা এখনও বিশ্বাস করি- বাংলাদেশ ভারত হয়ে যায়নি।
বাংলাদেশে এখনও সকল জনগণের অধিকার পাওয়ার অধিকার আছে।
তারপরও কেন বাংলাদেশের নওমুসলিমের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে ?
কেন তাদের হত্যা করা হচ্ছে, অপহরণ করা হচ্ছে, হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
যারা প্রকাশ্যে তাদের হুমকি দেয় কেন তাদের গ্রেফতার করা হয় না ?
রাষ্ট্র কেন নওমুসলিমদের সাংবিধানিক অধিকারের ব্যাপারে নির্বিকার ?
জবাব চাই।
………………………..

করোনা ভাইরাসের অন্তরালে পৃথিবীতে এখন কি ঘটছে-?

করোনা ভাইরাসের অন্তরালে পৃথিবীতে এখন কি ঘটছে-?

সিক্রেট সোসাইটির সদস্য হেনরি কিসিঞ্জার বলেছে করোনা ভাইরাস ততদিন থাকবে যতদিন মানুষ New world order মেনে না নিচ্ছে।

তাহলে New world order গুলো কি?

১- ইস্রাইল এর অবশিষ্ট ভুমি বর্ধিতকরন Israel Annexation
২- বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত ইহুদিদের এখন পবিত্রভুমি জেরুজালেম ইস্রাইলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা
৩- cashless society কাগুজেমুদ্রার বিলুপ্তি ঘটান
৪- Digital currency র available করা
৫-জেরুজালেম এর উত্থান

রাসুল (সঃ) বলেছেন বায়তুল মুকাদ্দিস জেরুজালেম পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে দুনিয়াতে অনেক ফিতনা ফ্যাসাদ শুরু হবে।ফিত্না-ফ্যাসাদ শুরু হলে তা কুস্তুন্তুনিয়া (তুরস্ক/ ইস্তানবুল/Constantinople) শহরটি জয়ের কারন হবে এই শ হর জয় করা হলে দাজ্জাল বেরিয়ে আসবে।

আর এক হাদিসে রাসুল (সঃ) বলেছেন মহাযুদ্ধের ৭ ম বছরে তোমাদের মাঝে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে।

আবু দাউদ ৪২৪৪-৪২৪৫-৪১৪৬-৪২৯৪
ইবনু মাজা ৪২৯৫-৪২৯৬

ইহুদিরা এখন ইস্রাইলে প্রবেশ করে জেরুজালেম শ হরটি প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। কিন্তু বিগত ২০০০ বছর ইহুদিরা এই জেরুজালেম ইস্রাইল শহরে প্রবেশ করতে পারেনি।

২০০০ বছর আগে ইহুদিরা ইস্রাইল থেকে বিতাড়িত হয়েছিল
ইস্রাইলের বাসিন্দাদের অর্থাৎ বনী ইস্রাইলীদেরকে আল্লাহ তায়ালা ইস্রাইল থেকে বিতাড়িত করেছিলেন প্রথম বার তৈরাত কিতাব নিজেদের ইচ্ছামত পরিবর্তন করার কারনে দ্বিতীয়বার ঈসা (আঃ) মসিহ যিশুখ্রিস্ট কে হত্যার চেষ্টা করার কারনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা এ প্রসজ্ঞে বলেন,
আমি তৈরাত কিতাবে স্পষ্ট বলে দিয়েছে ইহুদি ইস্রাইলবাসিরা ২ বার পবিত্র ভুমি জেরুজালেম এ ফিত্না- ফ্যাসাদ ও পাপাচার শুরু করবে আর আমি ২ বার ই তাদের শাস্তি দিয়ে পবিত্র ভুমি জরুজালেম থেকে বিতাড়িত করে দিব। -সুরা বনী ইস্রাইল ৪-৭

যখন তারা মুসা (আঃ) এর কিতাব তৈরাত ইচ্ছামত পরিবর্তন করা শুরু করল তখন আল্লাহতায়ালা সেনাপতি বখতে নাসরের নেতৃত্বে জেরুজালেম ও ইস্রাইলে প্রেরন করেছিলো তার কঠোর যোদ্ধা বান্দাদের
তারা ইচ্ছামত ইস্রাইল এর প্রতিটি জনপদে ছড়িয়ে পরেছিল এবং ইহুদিদের সেখান থেকে মেরে বিতাড়িত করেছিল
সম্ভবত সেটা ছিল খ্রিষ্টের জন্মের ৫৮৭ বছর আগের ঘটনা
সেই সময় সেনাপতি বখতে নাসারের নেতৃত্বে ব্যাবিলনের বাহিনী ইস্রাইল থেকে ইহুদিদের প্রথম বার ইচ্ছামত শায়েস্তাকরে বিতাড়িত করে।

কিছুকাল পরে আবার ইহুদিরা পবিত্রভুমি জেরুজালেম এ ফিরে এসেছিল আবার তারা ইস্রাইলে আবার বসবাস শুরু করেছিলো

কিন্তু আবার যখন ইস্রাইল এর ইহুদিরা ঈসা মসিহ (আঃ) যিশুখ্রিষ্টকে হত্যা করার সাহস করল সময়টি সম্ভবত ৭০ খ্রিষ্টাব্দে তখন আবার আল্লাহ তায়ালা ইস্রাইলে তার অনুগত রোমান বাহিনী পাঠালেন সেনাপতি টাইটাসের নেতৃত্বে হিংস্র রোমান বাহিনী ইস্রাইলের প্রতিটি জনপদে ছড়িয়ে পরেছিলো আর ইহুদিদের শায়েস্তা করে জেরুজালেম থেকে ২ য় বার বিতাড়িত করেছিল।।

২ য় বার পবিত্র ভুমি জেরুজালেম থেকে বিতাড়িত হবার পরে ইহুদিরা সমগ্র দুনিয়ার এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।এভাবে তারা ইস্রাইল থেকে বিতাড়িত হয়ে দীর্ঘ প্রায় ২ হাজার বছর দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে লাগল

আল্লাহ তায়ালা সে সম্পর্কে বলেন
আমি ইহুদিদের শায়েস্তা করে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিভক্ত শ্রেণীতে বিভক্ত করে দিয়েছি।
সুরা আরাফ আয়াত-১৬৮

ইয়াজুজ মেজুজের দল ছাড়া পেয়েছে কিনা সেটা,নিয়ে স্কলারদের মধ্যে অনেক মমতভেদ রয়েছে তবে স্কলার ইমরানের মতে ইয়াজুজ মাজুজের প্রথম দলটি ছাড়া পেয়েছে যারা ইলেক্ট্রোনিক রিভলিউশন তৈরী করছে এরাই ইহুদিদের শেষ বারের মত পবিত্রভুমি জেরুজালেম ইস্রাইল ফিরিয়ে নিয়ে আসছে

যেহেতু ইহুদিরা তৃতীয় বারের মতো পবিত্র ভুমিতে ফিরে ইস্রাইল কে একটি ইহুদি রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে জেরুজালেম কে নিজেদের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে তাহলে বোঝা যায় ইয়াজুজ মাজুজদের প্রথম দলকে আল্লাহ তায়ালা মুক্ত করে দিয়েছেন।

কেননা ইয়াজুজ মাজুজ রা মুক্ত না হলে ইহুদিরা আবার পবিত্রভুমিতে ফিরে যেতে পারত না।

আল্লাহ তায়ালা বলেন আমি ইহুদিদের পবিত্রভুমি থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছি কিন্তু ইহুদিরা উক্ত পবিত্র ভুমি জেরুজালেম এ পুনরায় ফিরে যেতে পারবে যখন আমি ইয়াজুজ-মাজুজদের মুক্ত করে দেব।

সুরা আম্বিয়া আয়াত ৯৫-৯৬

আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি করোনা ভাইরাসের কারনে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত হাজার হাজার ইহুদিরা ইস্রাইলে প্রবেশ করছে যা রাসুল (সঃ) এর ভবিষৎবাণী মুলক হাদিস জেরুজালেম এর বিকশন ও জেরুজালেম এর পুনঃপ্রতিয়াষ্ঠার সত্যতা প্রমান করছে।আম রা দেখতে পাচ্ছি ইস্রাইলের Annexation এর কাজ চলছে মানে ইস্রাইলের ভুমি বর্ধিত করন চলছে।কেননা দাজ্জাল আগম নের আগে ইস্রাইল কে ভুমি বর্ধিত করতে হবে ততটুকু Annaxation করতে হবে যতটুকু স্থান king David দাউদ (আঃ) king solmon সোলাইমান (আঃ) এর জামানাতে ছিল।

আমরা দেখতে পাচ্ছি ইস্তানবুলের হাগিয়া সোফিয়াকে মসজিদ হিসেব ঘোষনা করা হয়েছে। বিশ্ববরাজনীতি ও বিশ্ব মিডিয়াতে তুরস্ক স্থান পাচ্ছে এই ইস্তানবুল শহর জয়ের কথা রাসুল (সঃ) এর হাদিসে এসেছে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেক গুরুত্বপুর্ন শহর cashless হয়ে গেছে কাগুজেমুদ্রার পতন দেখতে পাচ্ছি আমরা।Microchip এর ব্যাবহার বেরে যাওয়া দেখতে পাচ্ছি আমরা। সাথে আমরা দেখতে পাচ্ছি মুদ্রাব্যাবস্থাতে Digital currency চলে এসেছে।

রাসুল (সঃ) বলেন যখন জেরুজালেম প্রতিষ্ঠা পেয়ে উন্নত হতে থাকবে তখন মহাযুদ্ধ শুরু হবে।উক্ত মহাযুদ্ধে প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন মারা যাবে। মহাযুদ্ধের পরে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে।মুসলিম-আবু দাউদ-৪২৪৪,৪২৯৪ ইবনু মাজা ৪২৯৫-৪২৯৬

বস্তুত রাসুল (সঃ) এর হাদিস অনুসারে
ইস্রাইলের উত্থান জেরুজালেম এর উত্থান পারমানবিক যুদ্ধের আলামত।এবং পারমানবিক যুদ্ধ দাজ্জাল আগমনের আলামত।

রাসুল (সঃ) বলেন,তোমাদের মাঝে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে।আত্মপ্রকাশ করে বলবে আমি মসিহ (ত্রাণকর্তা যিশুখ্রিস্ট ঈসা) (আঃ)।কিছুদিন পরে বলবে আমি তোমাদের প্রভু।কিন্তু জেনে রাখ ওর ডান চক্ষু হবে কানা।

বুখারি-মুসলিম

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত,
নবী (স.) বলেন, অন্ধকার রাত্রির ন্যায় ক্রমাগত ফেতনা আসার আগেই যা আমল করার করে ফেলো। মানুষ তখন সকালে মুমিন থাকবে, বিকালে কাফের হয়ে যাবে। বিকালে মুমিন থাকবে, সকালে কাফের হয়ে যাবে। দুনিয়ার তুচ্ছ লাভের আশায় নিজের ইমানকে সে বিক্রি করে দেবে।-

সহিহ মুসলিম-৩২৮

দুনিয়াতে এখন লকডাউন সোস্যাল ডিসটেন্স স্কুল কলেজ University বন্ধ না থাকলে মানুষ পারায় পারায় মহল্লায় অলিতে গলিতে স্কুল কলেজের ক্যাম্পাসে মিডিয়াতে ইস্রাইলের ভুমি বর্ধিত করনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করত যা ইহুদিদের ইস্রাইলের ভুমি বর্ধিতকরন এর কাজ থামিয়ে দিত যেকারনে আগেই লকডাউন ও সোস্যাল ডিসটেন্স দিয়ে দেয়া হয়েছে এবং স্কুল কলেজ university বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি সমগ্র দুনিয়া ইস্রাইল জেরুজালেম কে বিকশিত করার মাধ্যমে দাজ্জাল কে বের করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। একটি মহাযুদ্ধ বাধানোর জন্য সবাই উঠে পরে লেগেছে কারন ইহুদি রাবাইগন জানেন একটি পারমানবিক বিশ্বযুদ্ধ দুনিয়াতে দাজ্জালের আগমন ঘটাবে।আর দাজ্জাল চীন বা আমেরিকা বা রাশিয়া থেকে নয় দাজ্জাল
ইস্রাইলের জেরুজালেম থেকে বিশ্ব শাসন করবে সোলাইমান (আঃ) এর সিংহাসনে বসে সমগ্র দুনিয়া শাসন করবে ।ইস্রাইলের ইহুদিরা এখন জেরুজালেম এ দাজ্জালের জন্য 3 rd temple নির্মান করছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন
মানুষেরা কি দুনিয়াতে ভ্রমণ করেনা? তাহলে তারা তাদের হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারত এবং এমন কান তৈরী হত যা দ্বারা তারা শুনতে পারত। বস্তুত মানুষের চোখ অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় তার বক্ষস্থিত হৃদয়।

সুরা হজ আয়াত ৪৬

আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকেই বুঝতে সাহায্য করুন। আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন

“শতাব্দীর সবচে বড় ফিতনা : মডারেট ইসলাম”

•——————————————————————•
“শতাব্দীর সবচে বড় ফিতনা : মডারেট ইসলাম”
•——————————————————————•

▪ [ র‍্যান্ড পরিচিতি ]


RAND Corporation !

অ্যামেরিকান গ্লোবাল পলিসি থিংক ট্যাংক হিসেবে সারা পৃথিবীতে অত্যন্ত পরিচিত এক নাম। RAND Corporation শব্দের বিস্তারিত রূপ হলো Research and Development Corporation। র‍্যান্ড কর্পোরেশন হলো অ্যামেরিকার একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। এর কাজ হলো আমেরিকার অর্থনৈতিক, সামাজিক, সমরনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক নীতিনির্ধারণী বা থিংক ট্যাংক হিসেবে গবেষণা করা…।

এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত আলোচনা-পর্যালোচনার পর যেকোনো ধরনের মার্কিন নীতি বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে অ্যামেরিকাকে সারাবিশ্বে একক পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জেনারেল হেনরি হাপ আর্নল্ডের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম RAND Corporation-এর যাত্রা সূচিত হয়। এরপর ক্রমে ক্রমে তার গ্রহণযোগ্যতা ও সুখ্যাতি বৃদ্ধি পেতে থাকে…।

যাত্রার শুরুর দিকেই RAND Corporation সফলভাবে মহাশূন্যে রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সারাবিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। এরপর ১৯৫৭ সালে মার্কিন বিমানবাহিনী RAND Corporation-এর প্রযুক্তি হায়ার করে মহাশূন্যে স্পাই স্যাটেলাইট তৈরি করতে সক্ষম হয়। এর নাম দেওয়া হয়েছিল Corona। মাত্র দুবছরের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের মোকাবেলায় এই Corona অ্যামেরিকার সবচে মোক্ষম অস্ত্রে পরিণত হয়। এরই ভিত্তিতে Pravda নামক সোভিয়েত পত্রিকা RAND Corporation-এর নাম দেয় the academy of science and death and destruction। এভাবেই ১৯৬০ সালের মধ্যে RAND Corporation বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েও অ্যামেরিকাসহ সারাবিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠে…।

এরপর সময় গড়াতে থাকে। RAND Corporation-এর পরিধিও বিস্তৃত হতে থাকে। তখন আর তারা শুধু যুদ্ধের জন্য প্রযুক্তি-অনুসন্ধানের মধ্যে ক্ষান্ত না থেকে কীভাবে শত্রুপক্ষকে বিভক্ত করা যায়, কীভাবে জাতিগত দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে বিনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায়—এসবের গবেষণা করতে থাকে। একেক দেশ ও জাতির জন্য তারা একেক ধরনের নীতি অনুসরণ করে; যাতে করে বিনা যুদ্ধে সেই দেশ ও জাতিকে অ্যামেরিকার কর্তৃত্বাধীন করা যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা মূলত RAND-এর গবেষণার বাস্তবায়ন মাত্র।

••• মুসলিমরাও যাতে কখনো পরাশক্তি হয়ে উঠতে না পারে, সর্বদাই যেন তারা অ্যামেরিকার অধীনস্থ থাকে— সে লক্ষ্যে RAND বিপুল গবেষণা করে বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানী রিপোর্টই বের করেছে।[১] অ্যামেরিকান গভর্নমেন্টের কাছে সেই অনুসন্ধানী রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর গভর্নমেন্ট তা বাস্তবায়ন করে চলছে। সেই ৬০-এর দশক থেকেই এভাবে তাদের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে…।

▪ [ মুসলিম চার প্রকার ]


র‍্যান্ডের দৃষ্টিতে মুসলমানদের প্রকার। RAND নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়নের সুবিধার্থে সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের চার ভাগে ভাগ করে থাকেঃ

[এক] ফান্ডামেন্টালিস্ট মুসলিম। অর্থাৎ মৌলবাদী ও চরমপন্থী মুসলিম। এরা হচ্ছে সে সকল মুসলিম, যারা ইসলামকে শুধু কতক বিশ্বাস-আকিদাহ, আচার-অনুষ্ঠান ও ব্যক্তিগত আমল-ইবাদতের ধর্ম মনে করে না, বরং ইসলামকে মনে করে এক পরিপূর্ণ দ্বীন বা মানবমুক্তির বিকল্পহীন জীবনব্যবস্থা। যারা চায় আল্লাহ তায়ালার নাজিলকৃত বিধান দিয়ে শাসন ও বিচারকার্য পরিচালনা করতে। চায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিসরেও ইসলামকে একচ্ছত্রভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে। ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে পুজিবাদ, জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র হটিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও শরীয়াহ কায়েম করতে !

••• এককথায়, তারা এই ধর্মকে সবক্ষেত্রেই বিজয়ী রাখতে চায়। আল্লাহর ভূমিতে আল্লাহর শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এরা হলো অ্যামেরিকার সর্বপ্রধান শত্রু। যেকোনো মূল্যে এদের বিনাশ করা অ্যামেরিকার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য…। অ্যামেরিকার যত প্রকার সশস্ত্র যুদ্ধ সব এদের বিরুদ্ধেই হয় !

[দুই] ট্রেডিশনালিস্ট মুসলিম। অর্থাৎ ঐতিহ্যবাদী-প্র্যাক্টিসিং মুসলিম। এরা হচ্ছে সে সকল মুসলিম, যারা ইসলামের ঐতিহ্যকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে রেখেছে। ইলমচর্চা, ধর্মপ্রচার এবং আত্মশুদ্ধিকেন্দ্রিক কাজগুলোকেই যারা ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে আছে…।

মসজিদ, মাদরাসা, খানকাহ ও পরিবারের মধ্যে ধর্মচর্চা নিয়ে পড়ে থাকাই যাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ…। এখানে ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে সমাজব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থা রাষ্ট্রব্যবস্থা কিংবা সরকারব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম বা শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার ধারণা অতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় ! কেবল ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মচর্চা করাই এদের প্রধান পরিচায়ক !

••• অ্যামেরিকা এদের ঝুঁকি মনে করে না। এরা অ্যামেরিকান সভ্যতা-সংস্কৃতির জন্য হুমকি কিংবা ক্ষতিকর নয়। তবে হ্যাঁ, তবে এরা যদি কোনোভাবে ফান্ডামেন্টালিস্ট মুসলিমদের সঙ্গে মিলে যেতে পারে, তবে এরা অ্যামেরিকার জন্য বিপদ এবং মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে…। এ জন্য যেকোনো উপায়ে এদেরকে তাদের নিজ নিজ পরিমণ্ডলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কোনোভাবে ফান্ডামেন্টালিস্ট মুসলিমদের সঙ্গে মিলতে দেওয়া যাবে না। বরং সাধ্যানুসারে উভয় দলের মধ্যে কোন্দল ও বিভেদ জিইয়ে রাখতে হবে। এমন কিছু করতে হবে যার দ্বারা উভয়ের মাঝে ‘ভুল বুঝাবুঝি ও দূরত্ব’ সৃষ্টি হয়। আর এজন্য ট্র্যাডিশানালিস্টদের ব্যস্ত রাখতে হবে নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ, ইখতেলাফে, মতপার্থক্যে…।

[তিন] মডারেট মুসলিম বা মডার্নিস্ট মুসলিম। অর্থাৎ আধুনিকতাবাদী মুসলিম। এরা আদি ও আসল ইসলামকে সেকেলে মনে করে…। তাই ইসলামকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করতে চায়, ইসলামের পরিমার্জিত সংস্করণ বের করতে চায়। এদের এসব ব্যাখ্যার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো, ইসলামকে প্রবৃত্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা। ইসলামকে পাশ্চাত্য ধারার জীবনব্যবস্থা এবং তার সভ্যতা-সংস্কৃতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করা; যাতে করে ইসলামের ইতিবাচক দিকগুলোও পালন করা যায়, আবার প্রবৃত্তিপূজার অংশ হিসেবে নেতিবাচক দিকগুলোর মধ্যেও অংশগ্রহণ করা যায়…। এদের চেষ্টা-প্রচেষ্টার সুবাদেই বর্তমানে অস্তিত্বলাভ করেছে সবকিছুর ইসলামি (!) ভার্সন। ইসলামি মিউজিক, ইসলামি সুদ, ইসলামি জুয়া, ইসলামি পতিতালয়, ইসলামি সিনেমাহল, ইসলামি গণতন্ত্র, ইসলামি সমাজতন্ত্র প্রভৃতি !

মডারেট মুসলিমরা আল্লাহ তাআলার দীনকে পরিপূর্ণভাবে মানতে রাজি নয়, বরং তারা দীনের কেবল ততটুকু মানতে চায়, যতটুকু তাদের মনঃপুত হয়, যতটুকু মানতে তাদের কোনো কষ্ট-ক্লেশ সইতে হয় না কিংবা ত্যাগ-তিতিক্ষা করতে হয় না…। এবং তা-ও কেবল সে উপায়েই মানতে চায়, যা তাদের সমাজে প্রচলিত কিংবা তাদের পূর্বসুরি বাপ-দাদাদের থেকে প্রাপ্ত। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলার অন্যান্য বিধানগুলোকে তারা অবলীলায় প্রত্যাখ্যান করে…।

••• র‍্যান্ডের পলিসি সাজেশন হলো, মডারেট মুসলিমদের সাহায্য করতে হবে, এদের জন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। আর বিশেষভাবে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় এদের প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে এদের উল্লেখযোগ্য অবস্থান ও সবিশেষ গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাই মিডিয়ার মাধ্যমে এদেরকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসতে হবে; যাতে তাদের আহ্বান মানুষের কর্ণকুহরে পৌঁছে যায়।[২]

[চার] সেক্যুলারিস্ট মুসলিম। অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী মুসলিম। এরা প্রথম থেকেই অ্যামেরিকার পকেটে রয়েছে…। তাই এদের নিয়ে আলাদা চিন্তা বা মাথাব্যথা নেই। এরা কারও জন্য কোনো ঝুঁকির কারণ নয়। সেক্যুলারিস্ট মুসলিমরা মূলত মুসলিমই নয়। কারণ, তারা ইসলামকে কেবল ব্যক্তিজীবনে পালনীয় ধর্ম মনে করে এবং রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে আলাদা মনে করে। এদের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা ইত্যাদি থাকবে ধর্মের বলয় থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। এরাই মূলত তারা, যাদের সম্বোধন করে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,

“তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশের প্রতি ইমান রাখো, আর কিছু অংশকে অস্বীকার করো ? তোমাদের মধ্যে যে-কেউ এমনটা করবে তার শাস্তি এ ছাড়া আর কিছুই নয় যে, ইহকালে তাদের জন্য থাকবে লাঞ্ছনা আর কিয়ামত দিবসে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে ভয়াবহ শাস্তির দিকে। তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে উদাসীন নন।” (সুরা বাকারাহ)

ইসলাম গ্রহণ করার জন্য দীনের প্রতিটি বিষয়ের প্রতি ইমান আনয়ন করতে হয়…। কোনো একটি বিষয়ের প্রতি অস্বীকৃতি বা সংশয় থাকলে ব্যক্তি কখনো মুমিন হতে পারে না…। অনুরূপভাবে একবার ইসলাম গ্রহণ করার পর পুনরায় ইসলামহারা হওয়ার জন্য দীনের প্রতিটি বিষয়কে অস্বীকার করতে হয় না, বরং যেমনিভাবে ওজু সম্পন্ন করার জন্য নিদেনপক্ষে চারটি অঙ্গ ধৌত করা লাগলেও ওজু ভঙ্গ হওয়ার জন্য ওজু ভঙ্গের কারণগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি কারণ পাওয়া যাওয়াই যথেষ্ট, একইভাবে ইসলাম নষ্ট হওয়ার জন্য দীনের অন্তর্ভুক্ত স্বীকৃত বিষয়সমূহের মধ্য থেকে যেকোনো একটি বিষয়ের প্রতি অস্বীকৃতি বা সংশয় পাওয়া যাওয়াই ইসলামহারা হওয়ার জন্য যথেষ্ট…।

▪ [ প্রেক্ষিত : মডারেট ইসলাম প্রচার ]


২০০৩ সালে অ্যামেরিকান গ্লোবাল পলিসি থিংক ট্যাঙ্ক RAND Corporation একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। ঠিক কীভাবে ও কাদের সহায়তায় অ্যামেরিকার বৈশ্বিক পলিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এক নতুন ইসলাম প্রবর্তন করা যায়, ‘Civil Democratic Islam: Partners, Resources & Strategies’ নামের এই রিপোর্টে তা আলোচিত হয়।

অ্যামেরিকাবান্ধব এই নতুন ইসলামেরই নাম দেওয়া হয় ‘মডারেট ইসলাম’ বা Civil Democratic Islam। এরপর ২০০৭ সালে Building Moderate Muslim Networks নামে একটি বিস্তারিত ফলোআপ রিপোর্ট প্রকাশ করে RAND…।

রিপোর্টগুলোতে মূলত তিনটি বিষয় আলোচিত হয়ঃ

[ক] কেন অ্যামেরিকাবান্ধব এই নতুন ইসলামের প্রবর্তন ও প্রচার করা উচিত ?

[খ] একজন মডারেট মুসলিমের বৈশিষ্ট্য কী হবে ?

[গ] কিভাবে মুসলমানদের মধ্যে এই মডারেট ইসলামের প্রচার ও প্রচলন ঘটানো যায় ?

••• RAND এর এই রিপোর্টে বেশ কিছু সম্ভাব্য পলিসি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তার মধ্যে একটি হলো, ইসলামের ব্যাপারে পুরনো ধ্যান-ধারণাকে ভেঙ্গে দিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে ‘পশ্চিমা ইসলাম’, ‘অ্যামেরিকান ইসলাম’ ইত্যাদি ধারণাকে প্রমোট করা। তার ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ পলিসি সাজেশান ছিল, মডার্নিস্ট ও মডারেট দায়ি ও আলিমদের চিহ্নিত করা, তাদেরকে বিশ্বব্যাপী প্রমোট করা এবং তাদেরকে দিয়ে নতুন নতুন বই ও কারিকুলাম তৈরি করা…। এ ছাড়াও কীভাবে আপাত রক্ষণশীলদের (Conservatives) এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়েও রিপোর্টগুলোতে আলোচনা করা হয়…।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে Promoting Online Voices for Countering Violent Extremism নামে তৃতীয় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে RAND। এই রিপোর্টে মডারেট ইসলামের প্রচারের জন্য এবং প্রকৃত ইসলামি শিক্ষাকে (যেটাকে RAND কট্টরপন্থা বলে) মোকাবেলার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

কট্টরপন্থার বিপরীতে ‘সহিষ্ণুতা ও ক্ষমা’-এর শিক্ষা দেওয়া অনেক ‘মডারেট শায়খ’ এবং মুসলিম কমিউনিটি লিডার ও সংগঠনের নাম নির্দিষ্টভাবে এই রিপোর্টে আলোচিত হয়। RAND-এর পলিসি বাস্তবায়নে এ ধরনের ব্যক্তি ও সংগঠনের সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হয় এই রিপোর্টে…।

▪ [ মডারেট ইসলামের লক্ষ্য ]


২০০৭ সালে RAND Corporation তাদের Civil Democratic Islam নামে যে রিপোর্টটি প্রকাশ করে, তাতে তারা লিখেছেঃ

‘গোটা মুসলিম বিশ্বে আজ তাদের তাদের নিজেদের মধ্যে একটি লড়াই চলছে। যে লড়াই মূলত বিশ্বাস ও মতাদর্শের লড়াই। এই লড়াইয়ের ফলাফলই নির্ধারণ করবে, মুসলিম বিশ্বের ভাগ্য কী হবে…।”

••• মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের চতুর্মাসিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছেঃ

“যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এমনই এক যুদ্ধে লিপ্ত, যা একই সঙ্গে সামরিক ও আদর্শিক। এ যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় কেবল তখনই অর্জিত হওয়া সম্ভব, যখন চরমপন্থীদেরকে (মুজাহিদদেরকে) তাদের স্বজাতি, পরোক্ষ সমর্থক এবং নিজেদের দেশের জনগণের চোখে সর্বাবস্থায় খারাপ ও কলঙ্কিত করে তোলা যাবে।”

ইউ এস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে রয়েছে :

“৯/১১-এর আক্রমণের পর বারবার ভুল পদক্ষেপ নিলেও ওয়াশিংটন এখন ঠিকই লক্ষ্যভেদী পাল্টা আক্রমণ হেনে যাচ্ছে। স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের চেয়েও আরও ব্যাপক রাজনৈতিক যুদ্ধের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সামরিক মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ এবং সি.আই.এ-এর গোপন অভিযান পরিচালনাকারী দলগুলো মিডিয়া এবং বিভিন্ন দেশের বুদ্ধিজীবীদের প্রকাশ্যে অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়া আরম্ভ করেছে। ওয়াশিংটন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যাচ্ছে এমন এক প্রচারণায়, যার উদ্দেশ্য কেবল মুসলিম সমাজকেই প্রভাবিত করা নয়; বরং স্বয়ং ইসলামকেই বিকৃত করে ফেলা…।”

ওয়াশিংটন গোপনে কমপক্ষে দুই ডজন দেশে এসবের জন্য অর্থ-সাহায্য দিয়ে আসছে…। ‘মডারেট ইসলাম’কে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে রেডিও-টেলিভিশনে ইসলামি অনুষ্ঠান (!) প্রচার করা, মুসলিম স্কুলে বিভিন্ন কোর্স চালু করা, রাজনৈতিক কর্মশালা করা, মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের ক্রয় করা, মসজিদ নির্মাণ, কুরআন ছাপা, ইসলামি স্কুল প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ-সাহায্য দিয়ে আসছে…।

▪ [ মডারেট মুসলিমের বৈশিষ্ট্য ]


একজন মডারেট মুসলিমকে [প্রথমত] গণতন্ত্রমনা হতে হবে…। গণতন্ত্রমনা বলতে সেই গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে, উদারনৈতিক পশ্চিমা ঐতিহ্যে গণতন্ত্র হিসেবে যা পরিচিত। গণতন্ত্রের সমর্থককে ইসলামি রাষ্ট্র-ধারণার বিরোধী হতে হবে। কোনো দল নিজেদের গণতান্ত্রিক দল দাবি করার অধিকার রাখবে না, যদি গণতন্ত্রকে তারা নিছক ক্ষমতায় আরোহণ ও সরকার গঠনের মাধ্যম মনে করে। যেমন : মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিন (মুসলিম ব্রাদারহুড)।।

একজন মডারেট মুসলিমের [দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য] হলো, অসাম্প্রদায়িক (ধর্মনিরপেক্ষ) আইন গ্রহণ করে নেওয়া…। চরমপন্থী (প্রকৃত) মুসলিম এবং মডারেট মুসলিমের মধ্যে আসল পার্থক্য হলো শরীয়াহ আইনের বাস্তবায়ন চাওয়া এবং না চাওয়া…, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কুরআনের আইন বাস্তবায়ন হওয়া বা না হওয়া…।

নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকারের (!) প্রতি সম্মান প্রদর্শন। আর এক্ষেত্রে হিজাব বাধ্যতামূলক করা নারী অধিকারে হস্তক্ষেপ করার নামান্তর হিসেবে চিহ্নিত হবে…। অমুসলিমদের ওপর জিযয়া কর আরোপ করা হবে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন…।

সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ সহিংসতাবিরোধী হতে হবে…।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তারা একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে। যার উত্তরের ভিত্তিতে তারা নির্ণয় করবে, কে মডারেট মুসলিম আর কে প্রকৃত মুসলিম…।

••• প্রশ্নগুলো নিম্নরূপঃ

এই ব্যক্তি বা দল কি সহিংসতা (জিহাদ)-কে সমর্থন করে বা সেটাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে ?

এখন সমর্থন না করলেও কি অতীতে কখনো সমর্থন করেছে বা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছে ?

তারা কি গণতন্ত্রকে সমর্থন করে ?

করলে কি পশ্চিমা উদার গণতান্ত্রিক মানদণ্ডে নির্ধারিত ব্যক্তি অধিকারকে সমর্থন করে ?

তারা কি (কুফফার গোষ্ঠী রচিত) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ডকে সমর্থন করে ?

এসব ক্ষেত্রে তারা কি কোনো ব্যতিক্রম করতে চায় ? (যেমন : ধর্মীয় স্বাধীনতা বা শরীয়াহর ক্ষেত্রে)

তারা কি বিশ্বাস করে যে, ধর্ম পরিবর্তন করা কেবলই ব্যক্তিগত অধিকার ?

তারা কি বিশ্বাস করে যে, শরীয়াহ কর্তৃক নির্ধারিত ফৌজদারি দণ্ডবিধি বাস্তবায়ন করা উচিত ?

তারা কি মনে করে যে, তাদের রাষ্ট্রে শরীয়াহ বহির্ভূত পছন্দমাফিক অন্য কোনো আইনে বিচারপ্রার্থনার সুযোগ থাকা উচিত ?

তারা কি বিশ্বাস করে যে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকারও (!) একজন মুসলিম নাগরিকের সমান ?

তারা কি বিশ্বাস করে যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরাও মুসলিম দেশে মুসলিম নাগরিকদের মতো সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেতে পারে ?

তারা কি বিশ্বাস করে যে, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা মুসলমানদের শাসিত দেশগুলোতে তাদের ধর্মের প্রচার-প্রসারের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে পারে ?

এই ইসলামি রাষ্ট্র কি অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত কোনো আইনি ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে ?

▪ [ সিভিল ডেমোক্রেটিক ইসলামের প্রস্তাবনা ]


• মডারেট মুসলিমদের লেখা বই-পুস্তক, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ইত্যাদি ভর্তুকি দিয়ে প্রকাশ করা।

• সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে যুবক শ্রেণির জন্য বইপত্র রচনা করতে মডারেট মুসলিমদের উদ্বুদ্ধ করা।

• মডারেট মুসলিমদের মতাদর্শকে ইসলামি শিক্ষার সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

• সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষা-সিলেবাস ও প্রচারমাধ্যমে তাদের ইসলামপূর্ব জাহিলি সভ্যতা-সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে এর চর্চাকে উৎসাহিত করা।

• মুসলিম জনগণের মধ্যে কেবলই ব্যক্তিগত ধর্মচর্চা বা সুফিবাদকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা।

• বেআইনি অবৈধ দলসমূহ ও তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করা।

• তাদের সহিংস (জিহাদি) কর্মকাণ্ডগুলোর পরিণাম জনসমক্ষে তুলে ধরা।

• মৌলবাদী, চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের (মুজাহিদদের) প্রতি কোনো রকম সম্মান প্রদর্শন করা কিংবা তাদের কোনো প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

• তাদেরকে জনগণের সামনে মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং কাপুরুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে; প্রতিপক্ষের বীরযোদ্ধা হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না।

• মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী (মুজাহিদ) ব্যক্তি ও সংগঠনের দুর্নীতি কপটতা ও অনৈতিক বিষয়াদি সম্পর্কে তদন্ত করে (মিথ্যার প্রলেপ লাগিয়ে) তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা…।

••• প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট আরও বলেছে যে,

“বিভিন্ন দেশে সিআইএ বর্তমানে বেশ কিছু অভিনব কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জঙ্গি (মুজাহিদ) সংগঠনের সদস্য সংগ্রহকারী ও অ্যামেরিকাবিদ্বেষী আলিম-উলামাদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া।”

আলিম-উলামা পরিচয়ধারী লোকদের ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা আরেক জঘন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে…। তারা প্রস্তাব করেছে,

“তোমরা যদি দেখতে পাও যে, রাস্তার এক প্রান্তে মোল্লা ওমর একটি কাজ করছে, তাহলে রাস্তার অপর প্রান্তে তোমরা মোল্লা ব্র্যাডলিকে বসিয়ে দাও তার বিরুদ্ধাচারণ করার জন্য।”

আর সবশেষে মৌলবাদীদের মধ্যে দলাদলি ও বিভাজন সৃষ্টি করা…।

▪ [ আমাদের করণীয় ]


এ পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কী হতে পারে, এ ব্যাপারে সুন্দর দিকনির্দেশনা দিয়েছেন শাইখ আ. আওলাকি (রহঃ) তার এক বক্তৃতায়…।

“অ্যামেরিকা যদি প্রকাশ্যে নির্লজ্জের মতো ঘোষণা দেয় যে, তারা ইসলামকে বিকৃত করতে বদ্ধপরিকর, তাহলে আমাদেরও উচিত, নিজেদের দীন ও আদর্শকে এই কুচক্রীদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করা। যার যা কিছু আছে, তা নিয়েই শয়তানদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া…।

ইসলামের যেসব বিষয়কে এরা অপপ্রচারের মাধ্যমে বিতর্কিত করে ফেলেছে, আমাদের উচিত সেসব ব্যাপারে ইসলামের সঠিক বক্তব্যকে আপোষহীনতার সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা…। ইসলামি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা ও তা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি গোটা বিশ্ববাসীর কাছে ব্যাপকভাবে উপস্থাপন করা…।

আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শরীয়াহভিত্তিক শাসন তথা খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রকাশ্যে ও ব্যাপকভাবে কথা বলা…। কুফফার গোষ্ঠীর ল্যাবরেটরিতে উদ্ভাবিত সম্পূর্ণ কুফরি মতাদর্শ গণতন্ত্রের ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং ইসলামি শুরাব্যবস্থার সুফল ও কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করা…। ইসলামি দণ্ডবিধি, ইসলামি ফৌজদারি আইন, বহুবিবাহ, হদ-কিসাস-রজম, নারী অধিকার ও মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে ইসলামের বক্তব্য এবং আমাদের অবস্থান আপোষহীনভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা…।

মুসলিম জনসাধারণ যেন পশ্চিমা কুফফার মিডিয়ার চক্রান্তের শিকার না হয়, তাদের মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডার দ্বারা প্রতারিত না হয়, সে জন্য এসব ব্যাপারে সততা, স্বচ্ছতা ও আমানতদারির সঙ্গে আপোষহীনভাবে হৃদয়গ্রাহী করে ইসলামের আদর্শ তুলে ধরা এবং তা প্রচার করা…।

অ্যামেরিকার যাবতীয় বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যেকোনো উপায়-উপকরণ ব্যবহার করতে পিছপা হবে না…। ইউ এস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট তাদের নিবন্ধে লিখেছে, ‘মুসলিমদের পথভ্রষ্ট করার জন্য সম্ভাব্য যেকোনো উপায় অবলম্বন করতে হবে। এমনকি মিউজিক, কৌতুক, কবিতা, ইন্টারনেট ইত্যাদি সবকিছুর মাধ্যমে অ্যামেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিকে গ্রহণযোগ্যভাবে গোটা আরব তথা মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

অতএব তাদের যেকোনো ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে…।

এই কুফফার গোষ্ঠী যেহেতু সত্যিকার মুসলিমদের হেয়-প্রতিপন্ন করতে এবং তারা যে সত্যের পথে লড়াই করছে, সেই শুভ্রোজ্জ্বল পথকে বিতর্কিত করতে বদ্ধপরিকর, এ জন্য আমাদের ওপর আবশ্যক যে, আমরা সত্যপন্থী আলিম-উলামা ও দায়িদের পক্ষাবলম্বন করবো এবং তাদের বক্তব্য বেশি বেশি প্রচার করব। তারা যদি আমাদের চিরন্তন আদর্শকে নস্যাৎ করতে চায়, তাহলে আমাদের উচিত হবে নিজেদের আদর্শের প্রচার-প্রসার ও তা প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি আত্মনিয়োগ করা।

সত্যের বাণীসমৃদ্ধ যাবতীয় উপায়-উপকরণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। সত্যের মুখপত্র বই-পুস্তক, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, পত্র-পত্রিকা, অডিও-ভিডিও, ওয়েবসাইট তথা যেকোনো উপায়-উপকরণকে নিজেদের অর্থ ব্যয় করে বেশি থেকে বেশি প্রচার করা উচিত…।

নিদেনপক্ষে আমাদের কথা, জ্ঞান ও সম্পদের জিহাদে অংশগ্রহণ করা উচিত। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘তোমরা সম্পদ, প্রাণ এবং কথার মাধ্যমে জিহাদ করো।’ সঠিকভাবে সত্যের প্রচারও জিহাদের একটি অংশ…।

আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজয় দান করবেন— এ কথা মনে করে আমাদের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। বরং আমাদের উচিত সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। ‘আত-তায়িফাতুল মানসুরা’ বা ‘আল-ফিরকাতুন নাজিয়া’র অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন। কারণ, বিদআতের প্রসারে এখন আর শুধু স্বল্প সামর্থ্যবান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলগুলোই নিয়োজিত নয়; বরং খোদ অ্যামেরিকা এবং তার দোসররা বিদআতের প্রচার-প্রসারে ব্যাপক অর্থায়ন শুরু করে দিয়েছে…। অতএব হক ও বাতিলের এই আদর্শিক যুদ্ধে গোটা বিশ্ববাসীর সামনে সত্যকে তুলে ধরা সত্যপন্থীদের সবার নৈতিক দায়িত্ব…।”

[•••] বিস্তারিত রেফারেন্সঃ

• In Their Own Words, Voices of Jihad-
http://www.rand.org/pubs/monographs/2008/RAND_MG602.pdf

• Civil Democratic Islam. Partners, Resources, and Strategies
http://www.rand.org/pubs/monograph_reports/MR1716/MR1716.pdf

• Maritime Terrorism Risk and Liability
http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG520.pdf

• Counterinsurgency in Afghanistan
http://www.rand.org/pubs/monographs/2008/RAND_MG595.pdf

• Radical Islam in East Africa
http://www.rand.org/pubs/monographs/2009/RAND_MG782.pdf

• Beyond Al-Qaeda. Part one. The Global Jihadist Movement
http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG429.pdf

• Beyond Al-Qaeda. Part two. the Outer Rings of the Terrorist Universe
http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG430.pdf

• The Muslim World After 9/11
http://www.rand.org/pubs/monographs/2004/RAND_MG246.pdf

© আলী হাসান উসামা

Gallery

হিন্দি সিরিয়াল দেখার দরুন কু-ধর্ম শিক্ষা !

বর্তমান সময়ে আপনি যদি একটা বাচ্চাকে ১০ জন সাহাবী বা ইসলামের ১০ জন মনিষীর নাম জিজ্ঞাসা করেন, অধিকাংশ বাচ্চায় পারবে না। কিন্তু তাদের যদি বলা হয় ১০ জন বাংলাদেশী বা ভারতীয় নায়ক বা নায়িকার নাম বলতে, তারা গট গট করে … Continue reading