বাঙালী মানেই মুসলিম, মুসলিম মানেই বাঙালী

বাঙ্গালী মানেই মুসলিম, মুসলিম মানেই বাঙ্গালী।

বাঙ্গালী জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে মুসলিম। ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট বাঙ্গালী জনসংখ্যার ৭০% ই হচ্ছে মুসলিম। তাহলে বাঙ্গালী মানেই হিন্দু কিভাবে হয়? মুসলিম মানেই বাঙ্গালী, বাঙ্গালী মানেই মুসলিম এমন দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন। হীনমন্যতায় কেন ভুগবেন।

পাকিস্তানীদের ইতিহাসে তাদের নিজস্ব সালতানাত বলতে কিছুই ছিল না। কিন্তু আমাদের ছিল সালতানাত-ই-বাঙ্গালাহ। যার প্রতিষ্ঠাতা পরাক্রমশালী সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি নিজেকে এবং অন্যান্য রাজ্য তাকে বাংলার সুলতান হিসেবে অভিহিত করত। পুর্ববর্তী সালতানাতগুলোর মত বংশের নামে নয় ভূখন্ডের নামে সুবিশাল বাংলা সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের নায়ক সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি জাতিতে ছিলেন তুর্কমান কিন্তু উনার বউ ছিলেন বাঙ্গালী। যিনি হিন্দু থেকে মুসলিম হয়ে ছিলেন এবং বিয়ের পর বাংলার ভূখন্ডে ইসলামের জন্য স্বামীর কাজে অনেক সাহায্য করেছিলেন। আর সুলতানকে শাহজাদা সিকান্দার এর মত যোগ্য শাহজাদা জন্ম দিয়েছিলেন। তিনিও তার বাবার মত দুর্ধর্ষ এবং যোগ্য শাসক ছিলেন।

এই ইতিহাস কেন তুলে ধরলাম? কারন অনেকে নিজের বাঙ্গালী পরিচয় নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে। কিন্তু তাদের বলব ইতিহাস পড়ুন এবং বাঙ্গালীদের ইসলামিক ইতিহাস নিয়ে জানুন এবং সচেতন হোন। আমাদের দেশের গেটুপুত্র হিজড়া গান্ধা বাম-রামগুলো কলিকাতার অনেক পাড়ভক্ত। যেমনটা নপুংশকগুলো কলিকাতার হারবালের ভক্ত।

বউদি-মা-বোন নিয়ে ইনসেস্ট যৌনতা অনুভব করা কলিকাতার নোংরা শয়তানগুলো আমাদের কিসের সংস্কৃতি শিখাতে আসে? প্রথমে ব্রিটিশদের গোলামী আর এখন হিন্দুত্ববাদী দিল্লির গোলামী ছাড়া করছেটা কি?
আমি মেয়েদের ব্যাপারে খুবই কনজারভেটিভ শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু তাদের সংস্কৃতিতে দেখি কলিকাতার মেয়েদের বানিয়েছে পতিতার মত আর ছেলেগুলোকে বানাচ্ছে হিজড়া। আমার কাছে হিন্দু বাঙ্গালীদের সংস্কৃতি হচ্ছে অন্যতম নোংরা এবং অর্বাচীন সংস্কৃতি।

যখন বাংলার ভূখন্ড ব্রিটিশরা দখল করেছিল তখন কলকাতার হিন্দু বাবুরা ব্রিটিশদের নগ্ন সমর্থন দিয়েছিল। বাংলায় এত ব্রিটিশবিরোধী বিদ্রোহ হত যে, সেগুলোকে দমানোর জন্য ব্রিটিশরা সবচেয়ে বর্বর উপায়ে অবলম্বন করত। আর সেসময় সেইসব হিন্দু বাবুদের ঘর ছাড়া ব্রিটিশ সেনারা এবং তাদের দালালেরা সব ঘরে লুটতরাজ-হত্যা-ধর্ষণ চালাত। বাংলার মুসলিমরা ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু।

বিহারীরা বলে বাঙ্গালী পুরুষদের নাকি পুরুষত্ব নেই। সেইসব বেশরম বিহারী বলদদের বাংলাদেশে আসতে বলা উচিত, পুরুষত্ব কাকে বলে দেখিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বাঙ্গালীরা রাক্ষস জাতি, দুর্ধর্ষ রক্ত আমাদের। সালতানাত-ই-বাঙ্গালাহ এর সুলতান ইলিয়াস শাহ জাতিতে ছিলেন তুর্কিক কিন্তু উনার সবচেয়ে দুর্ধর্ষ অশ্বরোহী সেনা ব্যাটালিয়ন ছিল বাঙ্গালী ব্যাটালিয়ন। আর তাদের নিয়ে উনার ছিল সীমাহীন গর্ব। আর তারাই তার গ্রেটার বাংলার সালতানাত এর স্বপ্ন পুরণ করেছিল। কলিকাতার হিজড়াদের দেখে বাঙ্গালী শক্তিমত্তা বিচার করলে হবে নাকি। আমরা একসময় পুরো বিহারের শাসনকর্তা ছিলাম। আর বিহারীদের মত অশিক্ষিত এবং নোংরা সংস্কৃতির জাতি আমাদের বাঙ্গালীদের নোংরামী ছাড়া কি শিখাবে? বাংলার ভূখন্ডে তাজিয়া মিছিল এবং শিয়াধর্ম নতুন করে এই বিহারীরাই আমদানী করেছে।

আবারো মনে রাখবেন আমরা মুসলিম বাঙ্গালী, বাঙ্গালী মুসলিম। আমাদের ইসলামিক ইতিহাস উপমহাদেশের অন্যান্য জাতির তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ। আর এই নিয়ে হীনমন্যতা নয় গর্বের সাথে প্রকাশ করুন। হিজড়া হিন্দুত্ববাদী সেক্যুলারদের মিথ্যাচার, ভন্ডামী গুড়িয়ে দিন।

পুরো জাজিরাতুল আরাবিয়া অঞ্চলের আরাবিয়ান মুসলিম জনসংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ ( ইবাদি এবং শিয়া জনসংখ্যা বাদে গণনা করে এই জনসংখ্যা বের করা হয়েছে। কারন জাজিরাতুল আরাবিয়ার ইসলামিক গবেষকরা এই দুই সেক্ট এবং অন্যান্য ছোট বড় সেক্টগুলোকে মুসলিম হিসেবে গণ্য করে না। আর এই সংখ্যাটা একদম এ্যাকুরেট নয়, মুসলিম জনসংখ্যার সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে।)

আমি নিজে সবসময় বলি। জাজিরাতুল আরাবিয়ার আরবদের পচ্ছন্দ করি এবং সবসময় তাদের উন্নতি এবং সুখ-শান্তির দোয়া করি। কারন সর্বপ্রথম তারা আমাদের রাসূল (সাঃ) এর জাতি এবং তাদের ভূখন্ড থেকেই ইসলামের আগমন। আর এখনো বিশ্বে তাদের দেশগুলোতেই ইসলাম সর্বচ্চো পর্যায়ে পালিত হয়। হ্যা তাদের ও অনেক দোষ-ত্রুটি রয়েছে এবং ফাসেকি কাজ করে। কিন্তু তারা এখনো সর্বচ্চো ইসলাম পালনের চেষ্টা করে।

আর এদিকে আমরা বাঙ্গালী মুসলিম শুধু বাংলাদেশেই ২০ কোটির অধিক। আর ভারতের পশ্চিম বাংলায় রয়েছে আরো প্রায় ৩ কোটির অধিক। আমি ত মাঝেমধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জাতি হিসেবে নিজেদের গর্ব করার জন্য অনেককে বলি।

তবে আমরা বাঙ্গালীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম হয়েছি ঠিকই। কিন্তু এখনো আমাদের কর্মে ইসলাম প্রতিফলিত হয়নি। শিরক-বিদাআত, রাহাজানি-দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, আমানতের খেয়ানত ইত্যাদি আরো অনেক নিকৃষ্ট পাপাচারে লিপ্ত। যা কখনোই একজন মুসলিমের চরিত্র হতে পারে না। আর এটি বাঙ্গালী মুসলিমদের জন্য কলঙ্কজনক। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব বাঙ্গালী জাতিকে পরিপূর্ণ ইসলামের দিকে ফিরিয়ে আনা এবং রাসূল (সাঃ) এবং সাহাবীদের অনুকরণে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে মানুষকে ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া। সালফে-সলেহীনদের পথ অনুসরণ করা।

মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সঠিক ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুক। আমিন।

Leave a comment